আমি কার? জাতীয় শোক দিবস স্পেশাল!

আজ জাতীয় শোক দিবস।এই উপলক্ষে সকাল থেকেই এক ধরনের কষ্ট পাচ্ছিলাম।বুকের কোনায় চি চি করে ব্যাথা হচ্ছিলো।আবার আজ নাকী জাতীয় জন্মদিন,এই জন্যে বুকের বাম পাশে শিহরণ বয়ে যাচ্ছিলো।সকাল থেকে জিন্স প্যান্ট এবং টি শার্ট এর ওপর কালো ব্যাজ ওয়ালা পাঞ্জাবী পায়াজামা পড়ে আছি,একসাথে দুইটা অনুষ্ঠানে যেতে হবে।সময় যাতে একটুও অপচয় না হয় তাই এই ব্যবস্থা।
সমস্যা হলো সকাল থেকে মেজাজ খিচড়ে আছে,গার্ল্ফ্রেন্ড কে বলেছিলাম সকাল সকাল ডেকে দিতে,জিলাপীর জন্যে লাইনে দাড়াইতে হবে।গরীব শুয়াড়দের জন্যে ঠিকমতো জিলাপী পাওয়া যায় না,গার্ল্ফ্রেন্ড ফোন দিয়ে উঠাইতে পারে নাই।এইসব মেয়েদের কে ওয়ান ইস্টার দিতে ইচ্ছা করে। যাই হোক,সকাল সকাল বাসা থেকে বের হয়ে মোড়ের দোকানদার বাবুল পাশার কাছ থেকে এক্টা সিগারেট নিলাম। টাকা দিতে গিয়ে দেখি পকেটে টাকা নাই,বাবুলের দিকে অসহায় ভাবে তাকালাম।বাবুল মনে মনে বলছে "আইজ পাশা খেলবো রে শ্যাম" খুশিতে ওর টাক চিকমিক করছে।আমি একজন সামান্য বাবুলের কাছে হেরে যাবো এটা ভাবতেই আমার মানবতা ধিক্কার দিয়ে উঠলো। খাচ করে কলার ধরে বল্লাম, "চিনোস আমারে?আমি ছাত্রলীগ,বেশি তেড়িবেড়ি করলে পেট কাইট্টা রেখে দিবো।" বাবুল এর মুখ আম আটির মতো চুপসে গেসে,চিউচিউ করে আমাকে এক প্যাকেট সিগারেট অফার করলো,আমি টানতে টানতে হাটা ধরলাম।
আজ সারাদিন ব্যাপী সমাবেশ হচ্ছে। প্রতি সমাবেশ শেষে খিচুরী অথবা বিরানী দিচ্ছে,আমি সংগ্রহ করছি,এখন এসেছি আরেকটি সমাবেশে। আমার আশেপাশে আরো অনেক গরীবের বাচ্চা লাইনে দাঁড়িয়ে আছে,আমার বিরক্ত লাগছে।যাই হোক,এক সময় আমার পালা এলো। মঞ্চে উঠে আবেগ সাম্লাতে না পেরে স্লোগান দিলাম, "জয় বাংলা,জয় বংগবন্ধু"। স্লোগান দেওয়ার পরে খেয়াল করলাম আশেপাশের সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে।আরেকটু ভালো করে খেয়াল করতেই দেখা গেলো একটা প্লাকার্ডে লেখা," দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্মদিন সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা" প্লাকার্ডের দিকে তাকিয়েই বুঝলাম আমি ভুল জায়গায় এসে পড়েছি। চোখ বন্ধ করে ছুট দিলাম,আজ আমি ভাত খাবো না।।
😂
ReplyDelete:D
Delete