দো-জাহানের অশেষ নেকি!

ওয়াজ শুনতে যাচ্ছি। আজ খুব আল্লাহ্ খোদার নাম করতে হবে। তো বাসে উঠে দাড়ালাম।কোথাও সিট নাই। কিছুক্ষন বাদে চোখে পড়লো আমার পাশেই একটা ফকিন্নি বসে আছে। দেখেই মাথাটা গরম হয়ে গেল! তুই শালা ফকিন্নির বাচ্চা ফকিন্নি,তুই বাসের সিটে বসবি কেন? ও কি দেখেনা যে একজন সাহেব দাঁড়ায় আছে ওর পাশে? নাহ কিছুতেই সে আমার দিকে তাকাচ্ছে না,বরং ঘুমানোর ভং ধরে আছে! চিন্তা করেন, একেতো সে গরিবের বাচ্চা গরিব তার উপর ঘুমানোর ভং ধরে আছে। কেমনডা লাগে!
নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলাম না। এবার হাটু দিয়ে ফকিন্নির পেট বরাবরা জোরে লাত্থি মারলাম। ফকিন্নি উবুৎ হয়ে পড়ে গেল। শালা অভিনয়ও পারে বেশ! ফকিন্নি অভিনয় শেষে জ্ঞান ফিরতেই দৌড়ে বাস থেকে নেমে গেল।
এবার আমি সিটে বসে মনের শান্তিতে চোখ বন্ধ করলাম। কিছুক্ষন যেতে না যেতেই আরেক ফকিন্নি এসে কয় স্যার ভাড়াডা দেন। আমি কইলাম ভাড়ার বদলে তোমাকে বাড়া খাওয়াবো শুয়ার। তোর কতবড় সাহস, তুই দেখছিস না যে আমি ঘুমাচ্ছি? বলেই দুদু হাত দিয়ে মোট চুইদ্দো পর্নোবার কিল ঘুসি মারলাম। শুওরটা অজ্ঞান হওয়ার ভং ধরেছে। আজকাল শুয়ার গুলারে ঠিক ভাবে মারতেও পারিনা। টার্চ করারা আগেই অজ্ঞান হওয়ার ভং ধরে।
এবার বাসের সবাই আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে গেল। বুঝলাম এখানে আমি বাদে সব শালা শুয়ার।শুয়ার গুলারে কইলাম একদম কথা কইবিনা কেউ, কথা কইলে একদম খাইয়া ফালামু একদম!
শুয়ার গুলার জন্য ওয়াজের কথাই ভুলে গেছি! যাক, আজ অনেক ওয়াজ শুনতে হবে। আজ দো-জাহানের অশেষ নেকি হাসিল করতে হবে।
কার্টেসিঃ নুর জেড আসাদ
কার্টেসিঃ নুর জেড আসাদ
Comments
Post a Comment